টানা লোকসানের মুখে দেশের চিনিকলগুলো অবশেষে বন্ধ করে দেয়া হতে পারে। এরইমধ্যে সব চিনিকলে চিঠি পাঠিয়ে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি, লাভ-লোকসান ও শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনার হিসাব চেয়েছে বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প কর্পোরেশন। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
দেশের সরকারি চিনিকলগুলো প্রতিবছরই লোকসান গুণছে। আসছে দিনগুলোতে চিনি বিক্রি করে লাভ হবে, আপাতত এমন আশাও নেই। তাই চিনিকলগুলোতে লোকসানের দায় এড়াতে বন্ধের কথা ভাবা হচ্ছে।
গেল ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের এক অফিস আদেশে দেশের সব চিনিকলের ১১টি বিষয়ের হিসাব চাওয়া হয়েছে।
শ্রমিক কর্মচারীরা জানান, অন্তত তিন মাস ধরে বেতন নেই চিনিকলগুলোতে। ২০১৫ সালের মজুরি কাঠামো অনুযায়ী তাদের এরিয়া বিল বকেয়া কয়েক কোটি টাকা। এখন নতুন করে মিল বন্ধের শঙ্কা ভাবিয়ে তুলেছে তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে এরইমধ্যে সারাদেশের চিনিকলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারী নেতারা ঢাকায় গিয়ে বৈঠক করেছেন চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে। ওই বৈঠকেও কারখানা বন্ধের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করলেও এনিয়ে আপাতত কথা বলার মতো কিছু নেই বলে জানিয়েছেন রাজশাহী চিনিকলের ব্যবস্থাপক মোহা. আবদুস সেলিম।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সমীক্ষা অনুযায়ী, সরকারি চিনিকলগুলোতে প্রতি কেজি চিনি উৎপাদনে খরচ হয় ৮৮ টাকা। তবে তা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।